The Denmark Tavern, Serampore, ~ recalling the Danish days in Bengal

    233 years old Danish Tavern at Serampore, West Bengal, renovated in 2018, has now become a popular eating out place. An hour may happily be spent here with mouth watering dishes. The Park Group of hotels in Kolkata is maintaining the Tavern. A brief description by Madhurima Banerjee.


The Denmark Tavern after renovation, picture taken from internet.

Menucard


ঘরের কাছে এককালে একটা ড্যানিশ কলোনী ছিল, নাম তার ফ্রেডরিকনগর। আসলে সেটাই শ্রীরামপুর। ২৩৩ বছর আগের সেই জায়গায় বসে যদি ড্যানিশ স্টাইল পেস্ট্রি হাতে নিয়ে একটু যদি পিছিয়ে যাই দু'শো বছরেরও বেশি?
 Madhurima Banerjee র কলমে–

#The_Danish_Tavern_Serampore

Are you done with the stereotype weekend destinations ended with the smell of popcorn in multiplex? Have you had enough of the Sunday-special window-shopping in multistorey shopping malls and still craving for some "hatke" hanging out?
...
Come,let's dive in the 233 years old history of our very own Suburban, which would take less than an hour by train from Howrah Jn.

Waiting for the historical ride? Great!!!

Let's jump into the past,March 1786.
.
.
Mr.James Parr,keeper of the London Tavern announced the inauguration of an elegantly decorated Inn on the bank of Hooghly River,just opposite to the Barrackpore Cantonment.

After two years, the ownership was handed over to Mr.John Nichols,former keeper of the Harmonick Tavern of the then Calcutta.

In 2010-11,after getting the nod from the higher officials of Denmark,a group of restoration experts decided to give life to the ruins of a building,standing erect amidst the debris near Dhobi Ghat of Serampore.

After several years diligent renovation work at the cost of Rs.5 Crore,borne by Government of West Bengal, Department of Tourism and a Private Association called Realdania, the Denmark Tavern was unveiled in February 2018 in presence of the Ambassadors of several Scandinavian countries including Denmark .The Denmark Tavern of Serampore consists of a Café which is  inspired by the Indian Coffee House of Kolkata and a Lodge consisting five rooms which are renovated and maintained by The Park Hotel,Kolkata.

Although bursting with high-rise and shopping malls here and there,while loitering in the vintage hall of the Denmark Tavern,one can still feel the essence of the then Fredericknagore,which came under British possession in 1845 and had been known as Serampore since then.

Sitting here,after a nice evening stroll by the riverside strand,one can experience the exotic flavour of some delicious food such as Chicken Sausage tossed with Capsicum and onion, Chicken Cheese Sandwich with French Fry,Danish special Pastry with Vanilla Icecream, Caramel Custard and the list goes on.A number of mouth-watering Bengali dishes are also available here.
Chicken sausage

Sausage, sandwich

Danish style pastry with icecream



So what are you waiting for?Let's have a stir in your cup of coffee with the perfect blend of historical nostalgia and new-age sophistication.

How to reach : From Howrah Jn.,one can avail any Burdwan (Main)/Bandel/Katwa/Tarakeswar/Arambagh/Goghat/Seoraphuli Local and reach Serampore.From Serampore Station Road, Electric Rickshaws/Auto-rickshaws are available to reach Serampore Court.Denmark Tavern, adjacent to the Bungalow of SDO,is at just 2 minutes walking distance from there.
Also,from Barrackpore Railway Station,one can take Auto-rickshaw to reach Serampore Ghat and from there Ferry service is available to Dhobi Ghat which is at 2 minutes walking distance from the Denmark Tavern.
Interior

Old picture on the wall of the tavern

Sitting arrangement



ভাগীরথীর তীর– পালতোলা বাণিজ্যতরীগুলি ভেসে যায়। পর্তুগিজদের ব্যান্ডেল, ওলন্দাজদের চুঁচুড়া, ব্রিটিশদের কলকাতা আর দিনেমারদের ঘাঁটি হলো শ্রীরামপুর। ড্যানিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি (স্থাপিত ১৬২০) যদিও কোনোকালেই অন্যদের মতো ভারতে খুব একটা সুবিধে করতে পারেনি, তবু নিকোবর দ্বীপ, তামিলনাড়ুর একটা দুটো জায়গা আর আমাদের ঘরের পাশের শ্রীরামপুরে কিছু প্রভাব ছিল তাদের।
     শ্রীরামপুরের তখনকার নাম ফ্রেডরিকনগর। সেদিনের ডেনমার্ক স্থাপত্যের নিদর্শন হয়ে আজও বেঁচে আছে সেন্ট ওলাভ চার্চ। শ্রীরামপুর কলেজও ড্যানিশ শ্রীরামপুরের ঐতিহ্যই বহন করে। সেইসময় বেশ বিজ্ঞাপন দিয়েই চালু হয়েছিল গঙ্গাতীরের এক জনপ্রিয় পান্থনিবাস,– খানাপিনার ব্যবস্থাও থাকত। এরপর দিনেমারদের দিনও গেল, কালের অতলে চলে গেল সেই পান্থনিবাস, আরো অনেক প্রাচীন ভবনের সঙ্গেই।
Condition of the Danish Tavern before renovation, source: internet



       বছর দশেক আগে ন্যাশনাল মিউজিয়াম অব ডেনমার্ক শ্রীরামপুরের ভাগীরথী তীরবর্তী পূর্বতন ড্যানিশ ভবনগুলির সংস্কারে উদ্যোগী হয় রাজ্য সরকারের সঙ্গে জোট বেঁধে। তারই ফলশ্রুতি শ্রীরামপুর কোর্ট চত্বরের নানা ভবনের পুনরুজ্জীবন, আর অবশ্যই আজকের দ্য ডেনমার্ক ট্যাভর্ন।
        হাওড়া থেকে একটা ব্যান্ডেল বা বর্ধমান মেইন লাইনের ট্রেন ধরে শ্রীরামপুর নেমে টোটো ধরে শ্রীরামপুর কোর্ট বা হেড পোস্টঅফিস এলেই যে কাউকে বললে দেখিয়ে দেবে গঙ্গার ধারের ডেনমার্ক ট্যাভারন। সুন্দর লন পেরিয়ে ভিতরে বসে ফ্লুরিশ স্টাইল কোনকিছু বা ইন্ডিয়ান বা চাইনিজ কোন ডিশ নিয়ে দেখতেই পারেন। আরেকবার আসতে ইচ্ছে করবে, নিশ্চিত।
The eye speaks for itself.
For more info: click on

Nehru Children's Museum, Kolkata – kids day out


Rabindrasadan metro station or Exide more is one of the busiest areas in Kolkata. But a number of important places like Nandan (film centre of West Bengal govt.), Academy of Fine Arts, Rabindrasadan, St. Paul's Cathedral, Calcutta Club, Birla Planetarium, Nehru Children's Museum etc. are at a stone's throw distance from here.
Collection of dolls


        Let's have a sneakpeek on Nehru Children's Museum, founded by Sri Jugal Srimal, which is a must visit place for kids.

  • How to go: Take a bus (GOVT BUS such as AC 5, AC 6, S7 and many more private buses also) from Howrah station to Exide or take a metro ride for Rabindrasadan metro station. The museum is just near the four point crossing.


  • What to see: A large and unique collection of dolls, toys of India and other countries etc. A superb art gallery is here. Stories of the Ramayana and Mahabharata are depicted here in unique manner, i.e., miniature model of god, temples, demons, trees and other mythological objects are demonstrated here, which is very useful for kids to understand those stories.

       Exhibitions of dolls and many other things of different countries are held in the winter.



Dolls of Indian states



  • Cultural Activities: Special classes, workshops and competitions on music, dance, recitation, drama, painting for children and teenagers are held here. Information may be obtained by a simple visit or a click on their website.

Website of Nehru Children's Museum


  • Timing: Closed on Monday and Tuesday. Open on other days from 11am to 7pm.



  • Entry fee: ₹.10/- for students, ₹.20/- for others.
Japanese doll exhibition

Japanese doll exhibition


Model map of old Indian cities



  • Lift not available for visitors. Staircases are to be used. Parents are to be careful so that toys, dolls and other objects exhibited here are not touched. Peace inside the museum must be maintained.


Now it's time to enjoy with your family.
A day trip including Victoria Memorial, Planetarium, musical fountain and Nehru Children's Museum will surely enrich your child. Your child will definitely rejoice the outing.

Your valuable feedback about this blog will help me to improve it.



Valley of Flowers and Hemkund Sahib Itinerary

ভ্যালি অফ ফ্লাওয়ার্স এবং হেমকুন্ড সাহিব, জুলাই ২০১৯।।জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর– বেশিরভাগ মানুষের ভ্রমণ ক্যালেন্ডারে মল মাস। কারণ একটাই, বৃষ্টি। যাঁরা পাহাড় ভালোবাসেন, রাস্তা বন্ধ বা ধসের ভয় থাকায় ভারতের প্রায় সব পাহাড়ই এইসময় তাঁদের জন্য বিপজ্জনক। জঙ্গলে প্রজনন ঋতু, তাই সাফারি বন্ধ। তার মধ্যেও বর্ষার ভ্রমণ হিসাবে সবচেয়ে জনপ্রিয় হল লাদাখ(কাশ্মীর) আর স্পিতি ভ্যালি(হিমাচল)। কিন্তু এই দুটিই বেশ ব্যয় ও সময়সাপেক্ষ।

আরো একটা জায়গা অবশ্য আছে, তাতে খরচাপাতি বেশ কম, সেটা নিয়েই আপাতত আলোচনা করব, জায়গাটার নাম ভ্যালি অফ ফ্লাওয়ার্স।














   





































উত্তরাখণ্ডের নন্দাদেবী ন্যাশনাল পার্কের অন্তর্গত ভ্যালি অফ ফ্লাওয়ার্স বা নন্দনকানন বা ফুলোঁ কি ঘাঁটি হলো প্রকৃতির এক আশ্চর্য সৃষ্টি, যেখানে সুবিশাল প্রান্তর জুড়ে পুরো বর্ষাকাল ধরে ফুটতে থাকে পাঁচ'শোরও বেশি ফুল। সব ফুল একসঙ্গে ফোটেনা, কিন্তু এই উপত্যকায় পৌঁছানোর পুরো পথ জুড়ে এবং উপত্যকার ভিতরে ঘন সবুজ প্রকৃতির কোলে নানা রঙের এবং নানা প্রজাতির ফুল দেখতে পাওয়া যায়, যার বেশিরভাগই ওষধি। কথিত আছে, রামায়ণে লক্ষ্মণ মেঘনাদের তীরে মুর্ছিত হয়ে পড়লে হনুমান যে গন্ধমাদন পর্বত তুলে নিয়ে গিয়েছিলেন, সেটা এই জায়গাই। গাড়োয়াল হিমালয়ের এই অংশটি সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে মোটামুটি 3300–3600 মিটার উচ্চতায় অবস্থিত। জাস্কার এবং গ্রেট হিমালয়ের মধ্যে এই ফুলের উপত্যকাটি হলো একটি বাফার বিশেষ। ১৯৮২ সালে জাতীয় উদ্যানের মর্যাদা পাওয়া ভ্যালি অফ ফ্লাওয়ার্স বর্তমানে ইউনেস্কোর তালিকাভুক্ত বায়োসফিয়ার রিজার্ভ। বহু এনডেমিক উদ্ভিদ প্রজাতির সঙ্গে বহু বন্যপ্রাণীরও বাসস্থান এই অঞ্চল। বসবাস বা রাত্রিবাস সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ।

ভ্রমণসূচী :–
১ম দিন– হাওড়া থেকে হরিদ্বারগামী ট্রেন।

২য় দিন– হরিদ্বার পৌঁছে আরতি দেখা। তাড়াতাড়ি শুয়ে পড়া দরকার কারণ পরদিন ভোরে উঠতে হবে।


৩য় দিন– ভোর পাঁচটার মধ্যে JMOU বাসস্ট্যান্ডে পৌঁছে যোশীমঠ এর বাস ধরতে হবে। প্রায় ১২ ঘন্টা লাগে যোশীমঠ যেতে। যোশীমঠে রাত্রিবাস। গোবিন্দঘাটের বাস পেলে সরাসরি গোবিন্দ্ঘাটও চলে আসা যায়।

৪র্থ দিন– যত সকালে সম্ভব, ৮টার মধ্যে বেরিয়ে যোশীমঠ থেকে শেয়ার গাড়িতে গোবিন্দ্ঘাট, আবার সেখান থেকে আরেকটি শেয়ার গাড়িতে পুলনা পৌঁছান। এখান থেকেই আসল ভ্রমণ শুরু হচ্ছে।
        পুলনা থেকে ঘাঙ্ঘারিয়া ১১ কিমি পথ। হেঁটে বা খচ্চরের পিঠে চেপে যাওয়া যায়। হেঁটে গেলে দু'পাশের সুন্দর দৃশ্য, লক্ষ্মণগঙ্গা নদী দারুণ উপভোগ্য। সন্ধের মধ্যে ঘাঙ্ঘারিয়া পৌঁছাতে হবে, কারণ পাহাড়ে সন্ধে নামলে এতটুকু আলোর ব্যবস্থা নেই। বন্য জন্তুও সামনে চলে আসতে পারে। রাত্রিবাস ঘাঙ্ঘারিয়াতে। আপাতত তিনরাত্রি এখানেই থাকা।




৫ম দিন– সকাল ৬টার মধ্যে ব্রেকফাস্ট সেরে ভ্যালি অফ ফ্লাওয়ার্স দেখতে বেরোনো। কাউন্টার থেকে সচিত্র পরিচয়পত্র দেখিয়ে স্লিপ নিতে হবে। তিনদিনের জন্য স্লিপ ইস্যু হয়। এখানে একদিন ধরেই প্ল্যান করে দেওয়া হল।তারপর ফুলের বনের মধ্যে দিয়ে পথ চলা। পুষ্পাবতী নদী পেরিয়ে ক্রমাগত চড়াই অতিক্রম। গ্লেসিয়ার পার হয়ে ভ্যালিতে প্রবেশ। এরপর সময় ও শারীরিক সক্ষমতা অনুযায়ী যতটা খুশি এগিয়ে চলা, মখমলের মতো সবুজের মধ্যে দিয়ে চলতে চলতে ফুলের সঙ্গে আলাপ।














বিকাল ৫টার মধ্যে চেকপোস্টে ফিরে এসে উপস্থিতি জানাতে হবে, নইলে কর্মীরা খুঁজতে বেরোবেন।

৬ষ্ঠ দিন– আগেরদিনের মতোই সকালে বেরিয়ে পড়ে আজকের গন্তব্য হেমকুন্ড সাহিব। শিখ গুরু গোবিন্দ সিংহের তপস্যাস্থল এই গুরুদ্বারটি পৃথিবীর সর্বোচ্চ গুরুদ্বার। প্রায় ১৪০০০ ফুট উচ্চতায় অবস্থিত হেমকুন্ড সাহিবের পাশেই রয়েছে লোকপাল হ্রদ। অসম্ভব সুন্দর এই হ্রদের শোভা। অসংখ্য শিখ নারী ও পুরুষ এই তীর্থে আসেন বছরের এই সময়ে। পথ চওড়া হলেও চড়াই খুব। তাই ক্লান্তি এবং দমে ঘাটতি হবেই এই রাস্তায়। হাঁটতে অসুবিধা হলে ঘোড়া পাওয়া যায়। কপালে থাকলে ব্রহ্মকমল দেখতে পাওয়া যাবে। হেমকুণ্ডের দরবার দুপুর একটায় বন্ধ হয়। তাই ভোরবেলা বেরোলে তবেই ঠিকমতো দরবারে পৌঁছে প্রসাদ পাবেন। ভারতের একমাত্র লক্ষ্মণ মন্দির এখানেই। লঙ্গরে গরম খিচুড়ি আর চা মিলবে, বিনামূল্যে। দুপুরে আবহাওয়ার অবনতি এখানকার নিত্যদিনের বিষয়। তাই মেঘ আর বৃষ্টির মধ্যে দিয়েই নেমে আসতে হবে ঘাঙ্ঘারিয়াতে।










৭ম দিন– হেঁটে ফেরা ঘাঙ্ঘারিয়া থেকে পুলনা। তারপর যোশীমঠ ফিরে রাত্রিবাস।
৮ম দিন– সকাল ৭টার মধ্যে বাস ধরে অথবা যোশীমঠ থেকে চামলি এবং চামলি থেকে ঋষিকেশ – এইভাবে শেয়ার গাড়িতে ঋষিকেশ ফেরা।

এরপর ট্রেনের টিকিট অনুযায়ী ঋষিকেশ, হরিদ্বার বা আরো একটু ঘুরে ফিরে আসা। মোটামুটি দশ দিন হলে পুরো ট্যুরটি ভালোভাবে হয়ে যায়।

থাকা- খাওয়া :– হরিদ্বারে চটিওয়ালা বা প্রকাশলোকে লস্যি, ছাস,পরোটা ইত্যাদি  এবং দাদা বৌদি বা মাসির হোটেলে নিরামিষ বাঙালি খাবার স্বচ্ছন্দে খাওয়া যাবে।
হরিদ্বারে হর কি পৌরী ঘাটের কাছে প্রচুর আশ্রম ও হোটেল রয়েছে। ৭০০– ১৫০০ বাজেটে নানারকম ঘর, এসে বুক করলেই চলবে।



ঋষিকেশ থেকে রামঝুলা এসে চটিওয়ালা রেস্টুরেন্টটি বেশ ভাল। ঋষিকেশে ত্রিবেণী ঘাটের কাছে আশ্রম, বসেরা দ্য হোটেল, এবং আরো অনেক হোটেলে ১০০০ টাকায় ঘর পেয়ে যাবেন।
মুনি কি রেতির কাছে ডিভাইন সোসাইটির আশ্রম আগে থেকে বুক করলে পেয়ে যাবেন।

যোশীমঠে হোটেল মাউন্ট ভিউ আনেক্স ১১০০ টাকা, আউলি ডি, GMVN সহ অনেক হোটেল পাবেন। আউলি ডি ফুডপ্লাজায় আমিষ খাবার পাবেন। স্ট্রিট ফুডও পাওয়া যায় নানারকম।

ঘাঙ্ঘারিয়াতে হোটেল নন্দা-পার্বতী ৪৫০ টাকায় সাধারণ মানের ঘর। এছাড়া  বাজেট হোটেল কুবের, প্রিয়া, প্রীতম, ইত্যাদি। দেবলোক আর কুবের আনেক্স (৩০০০টাকা) একটু বেশি দামী। দেবলোক আর প্রীতমের রেস্টুরেন্টে সবরকম খাবার পাওয়া যায়। চাইলে টেন্ট বুক করেও থাকা যায়। খরচ বেশি।

যাতায়াত :– হরিদ্বার থেকে যোশীমঠ বাসে ৪০০/- টাকা করে। যোশীমঠ–গোবিন্দ্ঘাট ৫০/-, গোবিন্দ্ঘাট-পুলনা ৪০/-।
পুলনা থেকে ঘাঙ্ঘারিয়া যেতেখচ্চরের ভাড়া ৬০০–৮০০/-,দরদাম করে নেবেন।
ফেরা একইভাবে।
পুলনার পর থেকে সব খাবার জিনিসের দাম এমনি দামের দ্বিগুণ। সেই বুঝে যেগুলো সম্ভব আগে থেকেই কাছে মজুত রাখুন।

পাহাড়ি পথে চলার সময় জল, বর্ষাতি, চকোলেট, ড্রাই ফ্রুটস সঙ্গে রাখুন। ট্রেকিং শু ভালো পরাই ঠিক হবে। হাতের লাঠি এবং পঞ্চ রেইনকোট গোবিন্দ্ঘাট এ এসেও কিনে নিতে পারেন।

ভ্যালি অফ ফ্লাওয়ার্স এবং হেমকুণ্ডের কোন গাছ বা ফুলে হাত দেওয়া বা ছেঁড়া নিষেধ। খাবারের উচ্ছিষ্ট ও প্লাস্টিক ফেলে আসা গর্হিত অপরাধ।

উত্তরাখণ্ডের এই উচ্চ উচ্চতাযুক্ত ট্রেকটি ভালো লাগলে বা কোন প্রশ্ন থাকলে কমেন্টে জানান। প্রকৃতিকে উপভোগ করুন।

বিশদ তথ্যের জন্য দেখতে পারেন–

https://en.m.wikipedia.org/wiki/Valley_of_Flowers_National_Park

https://en.m.wikipedia.org/wiki/Gurudwara_Shri_Hemkund_Sahib


–ঋত্বিক।

কলকাতার সিনাগগ

পোডিয়াম। উপরের ডোমে কালো সিলিংয়ে সাদা বিন্দুগুলি কালো রাতের আকাশে তারার প্রতীক।
কলকাতার সিনাগগ (ইহুদী উপাসনাস্থল)

      রোজ সকালে চাট্টি নাকে মুখে গুঁজে হাওড়া থেকে যারা বাসে চেপে ব্রেবোর্ন রোড দিয়ে যাই, অনেকেই হয়তো ক্যানিং স্ট্রিট এর ঠিক আগেই ডানদিকে একটা লাল-হলুদ বাড়ি দেখেছি। নাম লেখা থাকে NEVEH SHALOME SYNAGOGUE। আমি অনেকদিন অবধি মাথামুন্ডু বুঝিওনি। খুঁজিওনি। খানিকটা কৌতূহলবশেই ঢুঁ মেরেছিলাম সিনাগগের অন্দরে। ব্রেবোর্ন রোড, এজরা স্ট্রিট, পোলক স্ট্রিটের মতো জনবহুল কোলাহলপূর্ণ জায়গায় যে কি নিঝুম শান্তি বিরাজ করতে পারে, সেটা এখানে না এলে বোঝা যাবেনা।
         চট করে পিছিয়ে যাই দুশো বছরেরও আগে। শ্যালম আরন কোহেন- প্রথম ইহুদী ব্যবসায়ী, যিনি সুদূর সিরিয়া থেকে বোম্বে, সুরাত হয়ে কলকাতায় ঘাঁটি গাড়েন। জুয়েলারী ব্যবসা শুরু করে ধীরে ধীরে বস্ত্র, রেশম আরো নানাদিকে ছড়িয়ে দেন ব্যবসা। মূলতঃ ইরাক থেকে আগত ইহুদীরাই কলকাতায় এসে ব্যবসা ও বসবাস শুরু করেন। একটা সময় কলকাতায় ইহুদীর সংখ্যা ছিল প্রায় ৬০০০। ১৯৪৮ এ ইস্রায়েলের পুনরুত্থানের পর এখানকার ইহুদীরা নিজেদের দেশে ফিরতে শুরু করেন। উইকিপিডিয়ার মতে, বর্তমানে কলকাতায় ইহুদীর সংখ্যা ৩০।
          কলকাতার বুকে পাঁচটি সিনাগগ ছিল একসময়, এখন তার মধ্যে তিনটি দেখা যায়।
নেভে শ্যালোম সিনাগগ, মাগেন ডেভিড সিনাগগ, বেথ এল সিনাগগ, মাগেন এবথ এন্ড ইসিবিথ জেকব বেঞ্জামিন ইলিয়াস প্রেয়ার হল, এবং শ্যারে রেশন প্রেয়ার হল।
শেষ দুটির অস্তিত্ব এখন আর নেই।
         হাওড়ার দিক থেকে এলে, ব্রেবোর্ন রোডের ওপর ক্যানিং স্ট্রিট ক্রসিং এ নেমে পড়ুন। দুদিকে গুচ্ছের দোকান। ডানদিকের রাস্তাটায় ঢুকলেই মাগেন দাভিদ সিনাগগের গেট। ১৮৮৪ তে ইলিয়াস এজরা তাঁর বাবা দাভিদ জোসেফ এজরার স্মৃতিতে এটি নির্মাণ করান।
মাগেন দাভিদ সিনাগগ। চূড়ান্ত রাজকীয়।

ওপরে মহিলা গ্যালারি। রঙিন কাঁচের জানালা। মাগেন দাভিদ সিনাগগ।

          এর ঠিক পাশেই ব্রেবোর্ন রোডের ওপরেই নেভে শ্যালম সিনাগগ। কলকাতায় সবচেয়ে পুরানো সিনাগগ। ১৮২৫ এ নির্মিত এই সিনাগগটি ১৮৮৮ তে পুনর্নির্মিত হয়।
          দু' পা হেঁটে চলে আসা যাক টি বোর্ডের থেকে বাঁদিকের রাস্তায়। একটুখানি গিয়ে পোলক স্ট্রিটে ঢুকে পাওয়া যাবে তৃতীয় সিনাগগটি, যার নাম বেথ এল সিনাগগ। ১৮৫৬ এ দাভিদ জোসেফ এজরা এবং এজেকিয়েল জুডা এর নির্মাণ করান। পরে আবার ইলিয়াস শ্যালোম গাবে এর পরিমার্জন ও পরিবর্ধন করেন।
বেথ এল সিনাগগ, পোলক স্ট্রিট, কলকাতা।
ডোমের সিলিংয়ে নীল রঙের মাঝে সাদা বিন্দুগুলি নীল আকাশ ও জ্যোতিষ্কদের প্রতীক।
বেথ এল সিনাগগ।

বেথ এল সিনাগগের অন্দরমহল।

দোতলার মহিলা গ্যালারি। বেথ এল সিনাগগ।

          রবি থেকে বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪.৩০ পর্যন্ত সিনাগগের ভিতরে যাওয়া যায়। ভোটার কার্ড বা আধার কার্ড সঙ্গে রাখতে হবে। ওখানে মাথায় দেবার টুপি রাখা আছে, টুপি পরে ভিতরে যাবার নিয়ম।
       ছবি তুলতে যাঁরা ভালোবাসেন, তাঁদের জন্য সিনাগগগুলির ভিতরের দৃশ্য সম্পদ হতে পারে। রঙ্গিন কাঁচের মধ্যে দিয়ে আলোর খেলা, উপর থেকে ঝোলা ঝাড়বাতি, অসীম নৈঃশব্দ্য- অন্তত একবার যেতেই হবে চিরচেনা এই জায়গায়।
রঙিন কাঁচের মধ্যে দিয়ে আলোর মায়ার খেলা।
মাগেন দাভিদ সিনাগগের দৃশ্য।

        চারজন বা তার বেশিজন একসাথে যেতে গেলে অনুমতি লাগে। সেই ইমেইল আইডি নীচের ছবিতে দেওয়া আছে। নিয়মাবলী:

       খুব কম লোক যান বলে অনেকসময় রক্ষী সামনাসামনি থাকেননা। আমি যেমন নেভে শ্যালোম দেখতে পাইনি। এই একটাই অসুবিধা। বাকিটা শুধু অন্য একটুকরো কলকাতার নীরব ছবি।

কমেন্টে আপনার মতামত জানান।

আরো বিশদ তথ্যের জন্য রইল উইকিপিডিয়ার লিংক

Kinnaur Calls... A Trip to Kinnaur

       A trip to Kinnaur, Himachal Pradesh, India Kinnaur at its best...View at Sangla                   A click on this video ...

Popular posts